বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

শীতের রোদ, ক্যামেরায়

৷৷ শীতের রোদ, ক্যামেরায় ৷৷

দু’দিনের জন্য মেয়েটা বাড়ি এসে ফিরে গেল
একান্ত নিঃসঙ্গ নির্মোহ জীবনটা দুলিয়ে দিয়ে
খালি দোলনার মত, এক দমকা, শূণ্য দোলায়
ক্যামেরায় ধরে রাখতে ক্ষণজীবী শীতের রোদ
জমায়েত পালকের মত সির্র্যাস মেঘের মাঝে

জানালা দিয়ে বিছানায় আছড়ে পড়ে স্বর্ণ সমুদ্র
উচ্ছল, সফেন, লুটায় মোজায়েকের বেলাভূমে
জ্বলে, ডুরে চাদরে ফেলে যাওয়া কমলা স্কার্ফ
কাঁচের শার্সিতে ছায়া ফেলে উড়ে যায় টিয়ারা
রং ঈষদচ্ছ আমলকী – উচ্ছ্বসিত উল্লাসে ওরা
ধরা দেয় না মেয়ের দেয়া আনকোরা দূরবীনে
এক জোড়া কিন্ডল্ পড়ে থাকে বন্ধ, মূক মুখে
একই গল্প লেখা দুয়ে, একসাথে বসে এই রোদে
“বাপি, দেখে নাও কী করে ডাউনলোড করে”

জীবনটা ভরছে, খুলে রেখে না পড়া গল্পে গল্পে
রোদে জরানো লেবুর নিমকি, বয়ামে জমানো

যদিও জানি ক্যালিফোর্নিয়ায় ওই একই সূর্য ওঠে
মেয়ের গা ছুঁয়ে যায়, ছুঁয়ে যায় ওর প্যাটিওর ফুল
উপভোগ্য রোদ, শুধু বিভিন্ন নীল আকাশ ছেঁচা
তবুও এক বছর করতে হবে তার জন্য অপেক্ষা
আনবে ও মানা করা উপহার, খুলে দেখলেই শেষ
আর আকাঙ্ক্ষিত, ক্যালিফোর্নিয়ার রোদ ছোঁয়ান
“বাপি, দেখ কত লম্বা হয়েছে এবার আমার চুল !”
ওর হালকা, খুশি গলায়, জলতরঙ্গ সুরেলা সুরে ৷৷


-----------------------------------------
© ইন্দ্রনীর / ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪

কোন মন্তব্য নেই: