|| বিদায়, বনলতা সেন ||
বুনে যাওয়া উলের বুনুনিতে পড়ে যাওয়া ঘরের ফুটো
ছিন্ন কাঁথায় ছিঁড়ে কুটি, ফিকে হয়ে আসা সুতো দুটো
রোদ ওঠা গলির ছায়ায় না শুকানো গত রাতের শিশির
দেয়ালে তুলে রোদে দিয়ে ভুলে যাওয়া আচারের শিশির
তেলে জলে ডুবে থাকা ছোটবেলার চুরি করা কুশি আম
এইরকমই মনে পড়েনা তোমাকে আমার শেষ টেলিগ্রাম
এইরকমই মনে পড়েনা তোমাকে আমার শেষ টেলিগ্রাম
কি যেন লিখেছিলাম, না বলে আসা বুকে জমে থাকা কথা
ও, হ্যাঁ মনে পড়েছে সেই আদিম বিদায় জানানোর প্রথা
দূরে দাঁড়িয়ে, মনের চৌহদ্দির ভিতরে চোরা উঁকি মারা
মুখ এড়িয়ে দেখা অসমতল বুক, আলগোছে শাড়ি সরা
শীর্ণ হাতের মণিবন্ধে শাঁখা, পলা, নোয়ায় চিহ্ন এয়োতির
বনলতা সেন, এইসবে দেখিনি তোমার দু’চোখ সুনিবিড়
বনলতা সেন, এইসবে দেখিনি তোমার দু’চোখ সুনিবিড়
বলতে চেয়েছিল তারা বুঝি, ‘দেখতে এই ক্ষণস্থায়ী যৌবন
যখনই আসবে ফিরে, চাইবে আমায় নিঃস্ব, নিরাভরণ
আমি মেঝেতে বিছবো বিছানা চলে যাওয়া সব সময়ের
আঁধারে ঘুমিয়ে, স্বপ্নে, শুনিও তোমার কথা বিদায়ের’ ||
ইন্দ্রনীর / ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
ইন্দ্রনীর / ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
1 টি মন্তব্য:
অপূর্ব লাগলো | ইন্দ্রনীর,এভাবেই লিখে যাও |
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন