শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৪

বনিতার শুভরাত্রি

|| বনিতার শুভরাত্রি ||

‘শুভরাত্রি’, বলেও তুমি দাঁড়িয়েছিলে দোরগোড়ায়
বুঝি নি তখন দু’জনের কে করবে দরজা নীরবে বন্ধ
মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা ছিল ম্রিয়মাণ হাওয়ার শীতলতায়
প্রদীপের অনির্বাণ স্থির শিখায় পুড়েছিল রাত্রির নির্বন্ধ

যে একরাশ সরল আকাশে সন্ধ্যা ঢলেছিল ইতিহাসে
তোমার চোখে ছেয়ে অমানিশার অপার অজানা লিপ্সা
জানালা হতে উধাও তার নীলিমা, অন্ধকারে ছদ্মবেশে
সময় হয় নি বিদায়ের বলে জানিয়েছিল অপ্রতিভ ঈপ্সা

উপায় ছিল না জানানোর, ঐ দ্বিধার অজানিত আকুলতা
ছিল না কত কিছুই জানা ; অজানাও ছিল যে যত জানা
আলাদা রাত্রি যাপন, বাধিয়ে অন্ধকারে বিদায়ের দূরতা
কী অজুহাতে এক হৃদয়ের দুই শরীরে আলাদা উপাসনা

অথচ আমার বাহু তখন আবিষ্ট তোমার উত্তাপ রেশে
তোমার পলকের আঁচড় আমার নিমীলিত আঁখি পাতায়
আবিল অনিদ্রায় অবশ আমার অস্তিত্ব, সম্মোহক বশে
জেনেছিল শুভরাত্রি, তোমার অনুচ্ছাস জোয়ার ভাঁটায়

ওই প্রদীপ তাই কি বুঝেছিল কিছু, হয়েছিল উজ্জ্বল
ফিরাতে চেয়েছিল ঢলে যাওয়া, পড়ে যাওয়া আলো
তবে ওই শীতল হাওয়া কেন করেও তোমায় বিহ্বল
তোমার ভর্ৎসনায় ঠোঁট উচ্ছল আগ্রহে কাঁপিয়েছিল

যখনই ক্রমশ প্রকাশ্য সম্ভাবনায় রাত্রি আসন্নপ্রসবা
তুমি খেলো লুকোচুরি আলোয় আঁধারের সমাগমে
আমি চাই তুমি থাক ওই প্রদীপ শিখার মতই সধবা
উষ্ণ বিচ্ছুরণ সঁপে আমার প্রতি রোমাঞ্চিত রোমে ||


-----------------------------------------
© ইন্দ্রনীর / ১১ ডিসেম্বর ২০১৪

কোন মন্তব্য নেই: