|| চোখের দেউলে ||
সদ্য ভাঙ্গা ঘুমের শেষ স্বেদে ভিজে ছিল তোর গাল
চুলগুলো টেনে মাথার পিছনে, নিভাঁজ করে কপাল
দু’হাতে চুল মুঠো করে বেঁধেছিলি চুড়োখোঁপা উচল
শক্ত হাতে গুঁজেছিলি তোর কোমরে শাড়ির আঁচল
কটির কাছে কাঁচল নিচে মেলে তোর এক ফালি গা
খালি পায়ে তুই যাচ্ছিলি, টিপে ফুলকো ফুলকো পা
তুই হাঁটছিলি রাজহংসীর মতন, উদ্ধত বুক এগিয়ে
পিছনে তোর উর্বরা-জননী অভিমানী পেখম নাচিয়ে
চেয়েছিলাম আমি বলতে, ‘বড় লাগছিস মনকাড়া’
আমায় বিমনা করল তখন তোর চোখের শূন্য তারা
ঠোঁটে ঠোঁট চিপে, তর্জনী রেখে, ক্ষুব্ধ এক কটাক্ষে
ইঙ্গিত কী যে করেছিলি, তা পড়েনি আমার লক্ষ্যে
তুই চলে গেলি ঠাকুরঘরে, আমি রয়ে গেলাম দালানে
সামলাতে অদম্য ব্যাকুলতা, বেসামাল হয়ে আনমনে
কিছু পরে তুই ফিরে এলি, সেরে নিয়ে তোর অবগান
কপালে, চিবুকে চন্দনের ফোঁটা, গলায় গুনগুন গান
বুঝলাম, তোর হয়ে গেছে রোজকার প্রত্যুষী অভিসার
জানলাম না বাকি দিনটা তুই কি হবি শুধু এক আমার
বুঝি, তোর বুকের দেউলে বসানো অন্য কারো বিগ্রহ
দর্শায় শূন্য চোখের দেউলে আমার ব্যাকুলতার নিগ্রহ ||
-----------------------------------------
© ইন্দ্রনীর / ১৫ এপ্রিল ২০১৫
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন