|| পিঠোপিঠি ||
আয় না, বসে, পিঠে পিঠ ঠেসে, আজ হয়ে যাই পিঠোপিঠি
আয়নায় মুখ ভেংচে, আয় না, হেসে হেসে করি হুটোপুটি
সেই কোন কালে, হেঁটে মাঠে আলে, গিয়েছিনু পাঠশালে
আজ নেই আর, পাততাড়ি তার, সব পাঠও গিয়েছি ভুলে
শুধু মনে পড়ে ...
শুয়ে ঘাসফুলে, খোলা তোর চুলে, ভেলভেটি পোকা ধরা
হাত দিয়ে তোর, শিহর-বিভোর, গা’টা ছোঁয়া আগাগোড়া
আলপনা দেয়া তোর হাত শুঁকে, বুকে ভরা পিটুলির গন্ধ
অচিন্ত্য তোর আঁখি টিপে ধরে ভাবা আমি নিজে কত অন্ধ
শিশিতে বন্দী জোনাকি পোকার আলো দেখে করা বিশ্বাস
চোখে কি কাঁপে, পলকের ঝাঁপে বন্দী দীপালী ভিসুভিয়াস
খেলবার ছলে জোচ্চুরি বলে জোর গলায় তোকে হারিয়ে
জেতা কড়ি সব, তোর পদ পল্লবে আমিই দিয়েছি সাজিয়ে
বিজিতা অসহায়, লক্ষ্মীটি পায়, তুই তখন গুটি গুটি হেঁটে
কেঁদেছিস রুখে, আমার বুকে অলক্ষুণে এক আঁচড় কেটে
এত গায়ে লেগে, কণ্ঠনালীতে আবেগে, ঘনাত অচিন ভয়
কখন নিভৃতে, যদি যাস জিতে – আর, হয় আমার পরাজয়
তখন রাশি বসন্ত-হলুদ উড়ন্ত অশ্বত্থ পাতার পিছু পিছু ছুটে
মনে হত কেন, কী কথা যেন, বলি নি যে তোকে মুখ ফুটে
সে’সব কথার স্মৃতি আজ আবার পাক দেয় মনে ঘুরে ফিরে
আয় ভাই তাই, পিঠোপিঠি হই, বসে এই হেমন্তের রোদ্দুরে
মুখোমুখি বসে, চোখে চোখ রেখে, যদি আড় ভেঙ্গে যায়
তার চেয়ে চল, আড়াআড়ি হয়ে, মুখ চুরাই হাত আয়নায় ||
------------------------------------------
© ইন্দ্রনীর / ১৯ অক্টোবর ২০১৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন