শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০১৫

নায়কের চোখে

|| নায়কের চোখে ||


তোমার চশমাটা দেখে বুঝেছিলাম কাঁচে শক্তি নেই
যা কিছু শক্তি আছে, তা  তোমার চোখের চাঞ্চল্যে
তবুও তুমি মোটা কালো ফ্রেমের চশমা কেন পর ?
চোখের মনির অস্থির চঞ্চলতা গণ্ডিতে বাঁধতে ?
কিন্তু, তোমার মধ্যে তো সেই ইচ্ছাশক্তি নেই
যা চোখের বে-লাগাম মনিকে আগলাতে পারে
প্রায়ই তো দেখি তোমার দু’চোখ নেমে আসে
আমার হাতের আঙ্গুলে, আমার হাতের পাঞ্জায়
আমার পাঞ্জা দেখে ভাবো কী সুন্দর, শিল্পীসুলভ
তোমার চোখ তো তা বলে না – ওতে দেখি ভয়
ভয় কেন ? কেন তোমার চোখ নেমে যায় বুকে ?
তুমি কেন বার বার দেখ আঁচল কোথায় পালিয়েছে
ভেসে গেছে কি মেঘমালা, তুঙ্গ শিখর উন্মুক্ত করে
কতো কিছুই তো আছে আমাদের মাঝের ব্যবধানে
টেবিল, বটুয়া, খাবারের রকমারি ডিশ আর কাঁটা ছুরি
আর, লক্ষণরেখার গণ্ডির কাছে টেনে প্রতিহত করা
ছেঁদো, অসার, হালকা, চপলমতি, নৈর্ব্যক্তিক কথা
তবুও এই সবের মধ্যে তোমার চোখ উড়ে বেড়ায়
প্রজাপতির মত, আমার হাতের বুড়ি ছুঁয়ে ছিটকে
নামে ওই বুকের স্থানভ্রষ্ট আঁচলে দৃষ্টিগোচর করা
উপত্যকায়, যেখানে বালিয়াড়ি অস্তগামী সোনালী
বুঝি, তুমি খুঁজছ একান্ত পর্যটক, প্রকৃতিতে যাযাবর |
সবই বুঝি আমি, বুঝি যখন তুমি কোলে হাত নামিয়ে
ন্যাপকিন টানার ছলে শাড়ি টেনে ঢাক তোমার নাভি
তখন শাড়ির অন্য পাড়ে ভারী পাড়ের পর্দায় টান পড়ে
যেমন ভাবে নদী সর্পিল স্রোতে নিজের বক্রতা বদলায়
আমি তখন মুখ ঘুরিয়ে বেয়ারা খুঁজি, বলি বিল দিতে
বেয়ারা চোখে চোখ রেখে বলে, “বাবু, খেয়ে নিন”
খাব কী ? গিলছ তুমি আমাকে চোখে গোগ্রাসে !
তার থেকে যদি তুমি তোমার চশমা একটু নামাতে
মুক্তি পেতাম তোমার অরক্ষিত হয়ে যাওয়া মণিতে ||

---------------------------------------
© ইন্দ্রনীর / ২৪ জুলাই ২০১৫

কোন মন্তব্য নেই: