বুধবার, ২৪ জুন, ২০১৫

ডিমের-ঝোলের আলু

|| ডিমের-ঝোলের আলু ||


ও মা সোনা, আজ রাঁধ না, প্রিয় সেই ডিমের ঝোল
কষে লঙ্কা-জিরা বাঁটার সাথে কোরা কচি নারকোল
ফোড়ন বলতে লবঙ-এলাচ, আর কিছু কালোজিরে
ঝোলের আলু নয় আগে-ভাগেই রাখিস সেদ্ধ করে
মৌলা আলী ধারে দিয়েছে হাসের ডিম দু’ জোড়া
একটা তোর আর একটা বাবার, সিধে হিসেবে ধরা
জল বসিয়ে ডিমগুলো ছেড়ে, মিনিট দুয়েক রেখে
ফুটে উঠলে নামিয়ে নিয়ে রাখিস তাদেরকে ঢেকে
ঠাণ্ডা হলেই ছাড়িয়ে খোসা, ডিম ধুয়ে নিয়ে জলে
নিস সাঁতলে, গরম তেলে, এক চিমটে হলুদ মলে
ডিম আর আলু, তারপরেতে, সুতোর ধারে কেটে
কষা মশলায় আলু নেড়ে নিস, দিয়ে জলের ছিটে
ফুটে উঠলে ফেলে দিস ঝোলে কুসুম উপরে করে
কাটা ডিম, যেন কুসুমের ফাঁকে ঝোল না যায় ভরে
দারচিনি বেঁটে শিল ধোয়া জল দিলে ডিমের ঝোলে
দেখিস যেন ঝোলটা জোলো না হয়ে যায় অথৈ জলে
ঝোলের মাঝে আলুর পাশে চেয়ে চেয়ে যেন জাগে
কমলা রঙের ডিমের কুসুম, সূর্য্যি অস্ত যাওয়ার আগে

আমি নাই-ঘাটে যাই, করতে নাই, তুই চাপা গে ভাত
ঘাটের পথে ইস্কুলে যেয়ে দেখে নিতে হবে এক হাত
শুনেছি সাত সকালেই টাঙ্গিয়েছে এক্জামিনের ফল
যাই তাই দেখি, যদিও জানিস তোর ছেলে হয় সফল
তাই বলে রাখি, হয় হোক আমার ফিরতে একটু দেরী
গায়ে জল ঢেলে শাড়িটা বদলে, রাখবি ভাতটা তৈরি
পাশ করলে, দিস গরম ভাতে, জোড়া ডিম্বের ঝোল
ফেল করলে ? ভাবিস নে গো মা, হবে সে গণ্ডগোল

তবে দেখ যদি বিনে নাই করে ফিরে আসে তোর ছেলে
শুধু বেড়ে ভাত, দিস ডিম বাদ, ঝোল আর আলু ঢেলে ||


------------------------------------
© ইন্দ্রনীর / ২৪ জুন ২০১৫

কোন মন্তব্য নেই: