রবিবার, ৭ জুন, ২০১৫

খোকা-ভুলানো

|| খোকা-ভুলানো ||

উত্থিত কচ্ছে হইয়া সিকিভাগ দিগম্বর
ভীমবাবু করেন মূত্রত্যাগ বিনা আড়ম্বর
রৌপ্যরেখা নিম্নমুখী সেই ধারা ক্ষুরধার
পতনে সফেন ধরা অশ্রু গদগদ অপার

সহসা পার্শ্ব হইতে এক শিশু অট্টহাসে
“দেখে ফেলেছি” কহিয়া নাচে উল্লাসে
“তবে রে !” হাঁকেন রোষকষায়িত বাবু
“আয় দেখি কাছে” শুনি শিশু হয় কাবু

বোঝেন বাবু যে শিশুটির লাগিয়াছে ডর
মোলায়েম কণ্ঠে করেন তাহাকে আদর
“আয় না বাবা কাছে, তোকে দেব কিছু”
শুনিয়া ভীত শিশু দ্বিধায় মাথা করে নিচু

শুধায়, “আগে বলো কী দেবে আমাকে ?”
বাবু হাসিয়া রৌপ্যমুদ্রা দর্শান তাহাকে
“কিন্তু, কেন দেবে ?” শিশুর পুনঃ প্রশ্ন
বাবুর হয়েন ধৈর্যচ্যুত, কণ্ঠস্বর হয় উষ্ণ

কহেন দুই হস্তে বেষ্টিয়া নিজ স্ফীতোদর
“দেখছিস না এই ভুঁড়ি, ওরে বিচ্ছু বাঁদর
পাই না দেখতে আমি আর এইটার নিচে
ঝুঁকতেও পারি না, কুপোকাত হই পাছে”

“তুই তো দেখতে পেলি, বড়ই ভাগ্যবান
বলিস না কাউকে, কিন্তু, মলে দেব কান
রাখিস যদি মুখবন্ধ তুই, না ঘটিয়ে অনর্থ
দিতে পারি সামর্থ্য অনুযায়ী সামান্য অর্থ”

দুষ্ট শিশু, ছিনিয়া মুদ্রাটি, সবেগে পালায়
“অত্তোটার এইটুকু দাম !” শুনাইয়া রায় !     ||


------------------------------------
© ইন্দ্রনীর / ০৭ জুন ২০১৫

কোন মন্তব্য নেই: